বের হলো করোনা ভাইরাসেরঔষধ



 

  করোনা ভাইরাসের ঔষধ ও দিকনির্দেশনা;  

       আমরা শুনে আসছি যে, করোনা ভাইরাসের কোন প্রতিশোধক নাই, নাই কোন ঔষুধ। কোন গবেষক বা মেডিসিন বিশেষজ্ঞই এর প্রতিশোধক বের করতে পারে নি।  অথচ ১৪০০ বসর আগেই রাসুলে আকরাম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সব রোগের প্রতিশোধক বলে গেছেন।  তবে মৃত্যুর হাত থেকে বাচার কোন ঔষুধ কেউ বের করতে পারেনি।  পারে নি কেউ মৃত্যুর হাত থেকে তবে আল বাচতে বা বাচাতে।  তবে হা আল্লাহ তা'য়ালা কিছু খাঁচ ব্যক্তিকে এমন মো'জেজা দান করেছিলেন।

        আসলেই কি এমন কোন রোগ আছে যার কোন ঔষুধ নাই?  নাই কোন প্রতিশোধক?  এই কথার উত্তর বৈজ্ঞানিকরা বলবে যে, হ্যাঁ এমনও রোগ আছে যার কোন ঔষুধ নাই। কিন্তু পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক যিনি, তিনি ১৪০০ বসর আগেই বলে গেছেন একথা যে, এমন কোন রোগ নাই যার প্রতিশোধক নাই।  তবে মৃত্যু। যেমন টি হাদীসের ভাষায় বর্ণিত আছে।
 عن جابر بن عبدالله:رضى الله تعالى عنه  لكلِّ داءٍ دواءٌ

অর্থাৎ, প্রত্যেক রোগেরই ঔষুধ আছে।

ابن القطان (٦٢٨ هـ)، الوهم والإيهام ٤/٣١٦ • [هو] من رواية أبي الزبير عن جابر • أخرجه مسلم (٢٢٠٤) مطولاً

      এটা বিশ্ববিখ্যাত বৈজ্ঞানিক মানব কল্যাণকামী পথের দিশারি সাইয়্যেদুল আরব ওয়াল আজম মুহাম্মদ মুস্তফা আহমাদ মুজতবা সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর স্বযাছিত কথা। যার কোন ভুল তো দুরের কথা সন্দেহের লেশমাত্রও নাই।

       তাহলে এবার প্রশ্ন আসতে পারে যে, সব রোগের ঔষধ থাকলে, করোনা ভাইরাসের ঔষধ কি হতে পারে?
এপ্রশ্নের উত্তরে না বললেই নয় যে, করোনা ভাইরাস এটা যদি মৃত্যু রোগ হয়, অর্থাৎ এই রোগেই যদি আল্লাহ মৃত্যু লিখে রাখেন তবে কোন ঔষধ তার কাজে আসবে না। তাকে মরতেই হবে। আল্লাহ ছাড়া কেউ তাকে বাচাতে পারবে না।  যেমন অনেকেই এই ভাইরাসে মৃত্যুবরণ করেছে। আর যদি এই ভাইরাস বা রোগের মধ্যেই আল্লাহ তা'য়ালা মৃত্যু লিখে না রাখেন তাহলে অবস্যই ঔষুধ তার কাজে লাগবে। যেমন রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  মধু ও কালোজিরার ব্যপারে বলেন যে এগুলো সকল রোগের ঔষধ  তবে মৃত্যু। অর্থাৎ এগুলো শুধু মৃত্যু থেকেই বাচাতে পারে না, তা ছাড়া সকল রোগ থেকে মুক্তি দেওয়ার মত ক্ষমতা আল্লাহ তা'য়ালা এগুলোতে দিয়েছেন। যেমন টি হাদীসের ভাষায় বর্ণিত হয়েছে। যেমন,

عن عبدالله بن مسعود رضى الله تعلى عنه
العسلُ شفاءٌ منكلِّ داءٍ والقرآنُ شفاءٌ لما في الصدورِ فعليكم بالشفاءينِ القرآنِ والعسلِ

      অর্থাৎ, মধু দেহের সকল রোগের জন্য প্রতিরোধক (ঔষুধ) এবং কুরআন অন্তরের সকল রোগের প্রতিরোধক (ঔষুধ) সুতরাং তোমাদের উপর জন্য এই দুই ঔষধ গ্রহণ করা আবশ্যক।

ابن حجر العسقلاني (٨٥٢ هـ)، الكافي الشاف ١٦١ • لم أره هكذا • أخرجه ابن عدي في «الكامل في الضعفاء» (٣/٤١٨) باختلاف يسير، والحاكم (٧٤٣٥)، والبيهقي (٢٠٠٤٩) مختصراً.

তেমনি কালোজিরার ব্যপারে হাদীসে বর্ণিত। যেমন

 عن عائشة أم المؤمنين,,, في الحبَّةِ السَّوداءِ شفاءٌ منْ كلِّ داءٍ إلا السّامَ، قيلَ يا رسولَ اللهِ: وما السّامُ؟ قال: المَوتُ

        অর্থাৎ, কালোজিরার মাঝেই রয়েছে মৃত্যু ছাড়া সকল রোগের প্রতিরোধ ক্ষমতা।

ابن القيسراني (٥٠٨ هـ)، ذخيرة الحفاظ ٣/١٦٣١ • [فيه] إبراهيم بن إسماعيل ليس بشيء في الحديث • أخرجه البخاري (٥٦٨٧)، وابن ماجه (٣٤٤٩)، وأحمد (٢٥١٣٣) باختلاف يسير، وابن عدي في «الكامل في الضعفاء» (١/٢٣٥) واللفظ له


এছাড়া আরও বহু হাদীসে কালোজিরা ও মধুর গুণাগুণ বর্ণিত আছে।


         এছাড়াও বৈজ্ঞানিকদের গবেষণার আলোতেও বিশেষজ্ঞরাও অনেকে উপকারের কথা উল্লেখ করেছেন। তারাও শিকার করেন যে, মধু ও কালোজিরা মৃত্যু ছাড়া সকল রোগের ঔষধ।

গবেষকদের মতে কালিজিরার উপকারিতা


         নিয়মিত কালোজিরা খেলে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, একজিমা, এলার্জি ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণে থাকে।
কালোজিরায় ভিটামিন, স্ফটিকল নাইজেলোন, অ্যামিনো অ্যাসিড, স্যাপোনিন, ক্রুড ফাইবার, প্রোটিন, ফ্যাটি অ্যাসিডের মতো লিনোলেনিক, ওলিক অ্যাসিড, উদ্বায়ী তেল, আয়রন, সোডিয়াম, পটাসিয়াম ও ক্যালসিয়াম রয়েছে। জেনে নিন কালোজিরার কিছু উপকারিতা:

১. ডায়াবেটিস সবচেয়ে বিপজ্জনক রোগ হিসেবে পরিণত হয়েছে। কালোজিরার তেল ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখতে সহায়তা করে। প্রতিদিন সকালে এক কাপ চায়ের সঙ্গে আধা চা চামচ তেল মিশিয়ে পান করুন।

২. ডায়েটের জন্য কালোজিরা দারুণ কাজ করে। রুটি ও তরকারিতে ব্যবহার করতে পারেন। অনেকেই মধু ও পানির সঙ্গে মিশিয়ে খেয়ে থাকেন। কালোজিরা ওটমিল ও টক দইয়ের সঙ্গে যুক্ত করে খেলে বেশ উপকার পাবেন।

৩. লেবুর রস ও কালোজিরা তেল
একসঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করলে ত্বকের
অনেক সমস্যার সমাধান পেতে পারেন।
লেবুর রস ও কালোজিরার তেল মিশিয়ে দিনে দু’বার মুখে লাগান। ত্বকে ব্রণ ও দাগ অদৃশ্য হয়ে যাবে।

৪. কালোজিরা তেল মাথাব্যথার জন্য একটি পুরানো ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে বলা হয়। এটি মাথার ত্বকের ম্যাসাজ করুন।

৫. সরিষার তেলের সঙ্গে কালোজিরা
তেল গরম করে হাঁটু বা অন্যান্য
জয়েন্টগুলোতে ম্যাসাজ করতে পারেন। এটি জয়েন্টের ব্যথা থেকেও মুক্তি পেতে সহায়তা করবে।

৬. কালোজিরায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায়, প্রদাহ, অক্সিডেটিভ স্ট্রেস হ্রাস করার ক্ষমতাসহ লিভারকে সুরক্ষিত করতে সহায়তা করে। কালোজিরা রাসায়নিকের বিষাক্ততা কমাতে পারে। লিভার ও কিডনি ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে।

৭. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী
করে কালোজিরা। নিয়মিত কালোজিরা
খেলে শরীরের প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গ
সতেজ থাকে। এতে করে যে কোনও
জীবানুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে
দেহকে প্রস্তুত করে তোলে এবং
সার্বিকভাবে স্বাস্থ্যের উন্নতি করে।

৮. সর্দি-কাশিতে আরাম পেতে, এক চা চামচ কালোজিরার তেলের সঙ্গে ১ চা চামচ মধু বা এক কাপ লাল চায়ের সঙ্গে আধ চা চামচ কালোজিরের তেল মিশিয়ে দিনে তিনবার খান। পাতলা পরিষ্কার কাপড়ে কালিজিরা বেঁধে
শুকালে, শ্লেষ্মা তরল হয়। পাশাপাশি, এক চা- চামচ কালোজিরার সঙ্গে তিন চা-চামচ মধু ও দুই চা-চামচ তুলসি পাতার রস মিশিয়ে খেলে জ্বর, ব্যথা, সর্দি-কাশি কমে। বুকে কফ বসে গেলে কালিজিরে বেটে, মোটা করে প্রলেপ দিন একই সাথে।

৯. যারা হাঁপানি বা শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যায় ভুগে থাকেন তাদের জন্য কালোজিরা অনেক বেশি উপকারী। প্রতিদিন কালোজিরার ভর্তা রাখুন খাদ্য তালিকায়। কালোজিরা হাঁপানি বা শ্বাস
কষ্টজনিত সমস্যা দূর করে।

১০. নিয়মিত কালোজিরা খেলে দেহে
রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো হয়। এতে করে
মস্তিস্কে রক্ত সঞ্চালনের বৃদ্ধি ঘটে; যা
আমাদের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

১১. নিয়মিত কালোজিরা খাওয়ালে দ্রুত শিশুর দৈহিক ও মানসিক বৃদ্ধি ঘটে। কালোজিরা শিশুর মস্তিষ্কের সুস্থতা এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতেও অনেক কাজ করে।

১২. যেসব মায়েদের বুকে পর্যাপ্ত দুধ
নেই, তাদের মহৌষধ কালোজিরা। প্রসূতি মায়েরা প্রতি রাতে শোয়ার আগে ৫-১০ গ্রাম কালোজিরা মিহি করে দুধের সাথে খেলে মাত্র ১০-১৫ দিনে দুধের প্রবাহ বেড়ে যাবে। এছাড়া এ সমস্যা সমাধানে কালোজিরা ভর্তা করে ভাতের সাথে খেলেও ভাল। এছাড়া ১ চা-চামচ কালোজিরার তেল সমপরিমাণ মধুসহ দিন ৩বার করে নিয়মিত খেলেও শতভাগ উপকার পাওয়া যায়। এছাড়াও নিয়মিত কালোজিরা সেবনে চুলের গোড়ায় পুষ্টি ঠিকমতো পায়, ফলে চুলের বৃদ্ধি ভালো হয় এবং চুল পড়া বন্ধ হয়। অনেকেরই চুল পড়া, দুর্বল চুল, শুষ্ক চুল ইত্যাদি নানা রকম সমস্যা থাকে। এক্ষেত্রে
সপ্তাহে কয়েকবার কালোজিরার তেলের ব্যবহার চুলের সমস্যাকে দূর করতে পারে। এটি নিয়মিত রান্নায় ব্যবহার করতে পারেন। আরও ভাল প্রভাবের জন্য পানি দিয়ে সেদ্ধ করে পান করুন। পারলে প্রতিদিন সকালে কাঁচা কালিজিরা চিবিয়ে খান।


   গবেষকদের মতে মধুর উপকারিতা;


        মধু মানুষের জন্য আল্লাহ প্রদত্ত এক অপূর্ব নেয়ামত। স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং যাবতীয় রোগ নিরাময়ে মধুর গুণ অপরিসীম। রাসূলুল্লাহ (সা.) একে
‘খাইরুদ্দাওয়া’ বা মহৌষধ বলেছেন। আয়ুর্বেদ এবং ইউনানি চিকিৎসা শাস্ত্রেও মধুকে বলা হয় মহৌষধ। এটা
যেমন বলকারক, সুস্বাদু ও উত্তম উপাদেয় খাদ্যনির্যাস, তেমনি নিরাময়ের ব্যবস্থাপত্রও। আর তাই তো খাদ্য
ও ওষুধ এ উভয়বিধ পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ নির্যাসকে প্রাচীনকাল থেকেই পারিবারিক ভাবে ‘পুষ্টিকর ও শক্তিবর্ধক’ পানীয় হিসেবে সব দেশের সব পর্যায়ের মানুষ অত্যন্ত আগ্রহ সহকারে ব্যবহার করে আসছে। মধুতে যেসব উপকরণ রয়েছে তন্মধ্যে প্রধান উপকরণ সুগার। সুগার বা চিনি আমরা
অনেকই এড়িয়ে চলি। কিন্তু মধুতে গ্লুকোজ ও ফ্রুকটোজ এ দুটি সরাসরি মেটাবলাইজড হয়ে যায় এবং ফ্যাট হিসাবে জমা হয় না। মস্কো বিশ্ববিদ্যালয়ে মধুর নমুনা পরীক্ষায় দেখা গেছে যে, এতে অ্যালুমিনিয়াম, বোরন, ক্রোমিয়াম, কপার, লেড, টিন,
জিংক ও জৈব এসিড (যেমন-ম্যালিক এসিড, সাইট্রিক এসিড, টারটারিক এসিড এবং অক্সালিক এসিড), কতিপয় ভিটামিন, প্রোটিন, হরমোনস, এসিটাইল কোলিন, অ্যান্টিবায়োটিকস, ফাইটোনসাইডস, সাইস্টোস্ট্যাটিক্স এবং পানি (১৯-২১%) ছাড়াও অন্যান্য
পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে। ভিটামিন যেমন- ভিটামিন সি বা অ্যাসকরবিক এসিড, ভিটামিন বি-১, বি-২, বি-৩, বি-৫, বি-৬, ভিটামিন-ই, ভিটামিন-কে, ভিটামিন-এ বা ক্যারোটিন ইত্যাদি
বিদ্যমান। মধু এমন ধরনের ওষুধ, যার পচন নিবারক (অ্যান্টিসেপটিক), কোলেস্টেরলবিরোধী এবং ব্যাকটেরিয়াবিরোধী ধর্ম আছে। প্রতিদিন সকালে এবং বিকালে খালি পেটে চা চামচের দুই চামচ করে
মধু ডান হাতের তালুতে নিয়ে চেটে খেতে হবে। নিয়মিত ও পরিমিত মধু সেবন করলে যেসব উপকার পাওয়া যায়। তা হলো -

১. হৃদরোগ প্রতিরোধ করে। রক্তনালি প্রসারণের মাধ্যমে রক্ত সঞ্চালনে সহায়তা করে এবং হৃদপেশির কার্যক্রম বৃদ্ধি করে;

২. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে;

৩. দাঁতকে পরিষ্কার ও শক্তিশালী করে;

৪. দৃষ্টিশক্তি ও স্মরণশক্তি বৃদ্ধি করে;

৫. মধুর রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্ষমতা, যা দেহকে নানা ঘাত-প্রতিঘাতের হাত থেকে রক্ষা করে;

৬. অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সার প্রতিরোধ করে ও কোষকে ফ্রি রেডিকেলের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে;

৭. বার্ধক্য অনেক দেরিতে আসে;

৮. মধুর ক্যালরি রক্তের হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়ায়, ফলে রক্তবর্ধক হয়;

৯. যারা রক্ত স্বল্পতায় বেশি ভোগে বিশেষ করে মহিলারা, তাদের জন্য নিয়মিত মধু সেবন অত্যন্ত ফলদায়ক;

১০. গ্লাইকোজেনের লেভেল সুনিয়ন্ত্রিত
করে;

১১. আন্ত্রিক রোগে উপকারী। মধুকে
এককভাবে ব্যবহার করলে পাকস্থলীর বিভিন্ন রোগের উপকার পাওয়া যায়;

১২. আলচার ও গ্যাস্ট্রিক রোগের জন্য উপকারী;

১৩. দুর্বল শিশুদের মুখের ভেতর পচনশীল ঘায়ের জন্য খুবই উপকারী;

১৪. শরীরের বিভিন্ন ধরনের নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে এবং উষ্ণতা বৃদ্ধি করে;

১৫. ভিটামিন-বি কমপ্লেক্স এবং ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ মধু স্নায়ু এবং মস্তিষ্কের কলা সুদৃঢ় করে;

১৬. মধুতে স্টার্চ ডাইজেস্টি এনজাইমস এবং মিনারেলস থাকায় চুল ও ত্বক ঠিক রাখতে অনন্য ভূমিকা পালন করে;

১৭. মধু কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে;

১৮. ক্ষুধা,হজমশক্তি ও রুচি বৃদ্ধি করে;

১৯. রক্ত পরিশোধন করে;

২০. শরীর ও ফুসফুসকে শক্তিশালী করে;

২১. জিহ্বার জড়তা দূর করে;

২২. মধু মুখের দুর্গন্ধ দূর করে;

২৩. বাতের ব্যথা উপশম করে;

২৪. মাথা ব্যথা দূর করে;

২৫. শিশুদের দৈহিক গড়ন ও ওজন বৃদ্ধি করে;

২৬. গলা ব্যথা, কাশি-হাঁপানি এবং ঠাণ্ডা জনিত রোগে বিশেষ উপকার করে;

২৭. শিশুদের প্রতিদিন অল্প পরিমাণ মধু খাওয়ার অভ্যাস করলে তার ঠাণ্ডা, সর্দি-কাশি, জ্বর ইত্যাদি সহজে হয় না;

২৮. শারীরিক দুর্বলতা দূর করে এবং শক্তি-সামর্থ্য দীর্ঘস্থায়ী করে;

২৯. ব্যায়ামকারীদের শক্তি বাড়ায়;

৩০. মধু খাওয়ার সাথে সাথে শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে, ফলে শরীর হয়ে উঠে সুস্থ, সতেজ এবং কর্মক্ষম।


      ড. কে এম খালেকুজ্জামান*
* ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব), মসলা গবেষণা কেন্দ্র, বিএআরআই, শিবগঞ্জ, বগুড়া।


        তাই বলি জাতীর উদ্দেশ্যে করোনা নিয়ে কোন হতাশা নেই। নেই কোন ভাবনা এটা আল্লাহ প্রদত্ত একটা রোগ যার প্রতিশোধকও আল্লাহ বানিয়ে রেখেছেন। তাই সকলেই চেষ্টা করবো এই দুটা ঔষধ গ্রহণ করার।  নিজে ব্যবহার করুন অপরকে গ্রহণ করার জন্য সাহায্য করুন। তাই বলে এটা কেউ করতে যাবেন না যে, এগুলো দাম বাড়িয়ে পয়সা কামাবেন। মানুষের উপকার করবেন।  নিজেও আল্লাহর পক্ষ থেকে উপকৃত হবেন।

নিয়মাবলী ;

       প্রতিদিন নিয়মিত এক চা চামিচ মধু ও কালিজিরার কাঁচা দানা বা তেল মিশিয়ে চিবিয়ে বা চুষে খেয়ে নিন।  ইনশাআল্লাহ আপনার যদি আয়ুকাল দীর্ঘ থাকে তাহলে নিস্ক্রিয় পাবেন। যারা আক্রান্ত তারাও ভাল হবেন আর যারা আক্রান্ত নন তারও ব্যবহার করবেন। ইনশাআল্লাহ আল্লাহ চাইলে আক্রান্ত হবেন না।

       মনে রাখবেন এটা কোন সপ্নে পাওয়া কথা নয়, বা কোন গুজবও নয়,  বরং ১৪০০ বসর আগে দিয়ে যাওয়া দিক নির্দেশনা।  যেহুতু রাসুল বলেসেন সকল রোগের ঔষুধ তাই এটা ব্যবহার করতে আমার সমস্যার চেয়ে সমাধানই যুক্তিযুক্ত।


        সেই সাথে নিজেকে এই মহামারী রোগ থেকে বাচার জন্য অবশ্যই সচেতনতার সাথে ইবাদাত বন্দেগী, দোয়া এস্তেগফার আল্লাহর কাছে কান্নাকাটি করার সাথে সাথে নিজেকে সদা জনমুক্ত নিরাজনতা অবলম্বন করেতে হবে। হাত মুখ জামা কাপড় সকল ব্যবহারিক আসবাব পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখাও জরুরী। এবং বিশেষজ্ঞরা যেই সকল বিষয়ে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন তা অবশ্যই পালনিয়। সেই সাথে সবার কাছে আকুল আবেদনের সাথে বলছি সকলেই সদা অজু অবস্থায় থাকবে।

আর দোয়া করতে হবে, মুসলমানদের সুস্থতা আর অমুসলিমদের জন্য হেদায়াত।

নিজ ও সকল মুসলমানদের জন্য এভাবে দোয়া করবো।

اللهم انا نعوذ بك من البراص والجنون والجزام وسيء السقام.....

      নিজ এবং সকল উম্মাহ (মুসলিম/অমুসলিম)  এর জন্য এভাবে দোয়া করবো।

اللهم اهدنا وهدبنا واهد الناس جميعا

বেশি বেশি দোয়ায়ে ইউনুস পাঠ করবো

প্রতি নামাজের পর আয়তুল কুর্সি পাঠ করে বুকে দম করবো। এবং শিশুদের বুকে দম করবো।

সকাল সন্ধা সুরা হাসরের শেষাংশ নিয়মিত আমল করবো। ইত্যাদি

আরও আশে পাশে ওলামায়ে কিরাম ও বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে চলার চেষ্টা করুন।

       আমার লেখাটা তখনই স্বার্থক হবে যখন এর দ্বারা মানুষ উপকৃত হবে। নচেৎ ব্যার্থই কাম্য। আল্লাহ সকলকে (মুসলিম) এই সকল আজাব গজব রোগ শোক বালা মসিবাত থেকে হেফাজত করুন। এবং ঈমানের মধ্যে দৃরতা পয়দা করে দিন। আর সকল জাতীকে (অমুসলিম) হেদায়েত নছিব করুন। আমিন।  আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আ'লামিন।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ছোট্ট একটি শিশু জ্বলন্ত চুলার ভিতরে গিয়ে জ্বলন্ত কয়লা হাতে তুলে মুখে নেওয়ার সাথে সাথেই‌‌‍ স্বর্ণের টুকরায় পরিণত হলো।