ছোট্ট একটি শিশু জ্বলন্ত চুলার ভিতরে গিয়ে জ্বলন্ত কয়লা হাতে তুলে মুখে নেওয়ার সাথে সাথেই‌‌‍ স্বর্ণের টুকরায় পরিণত হলো।

 ছোট্ট একটি শিশু জ্বলন্ত চুলার ভিতরে গিয়ে জ্বলন্ত কয়লা হাতে তুলে মুখে নেওয়ার সাথে সাথেই‌‌‍ স্বর্ণের টুকরায় পরিণত হলো। 


সম্মানিত মুসলিম ভাই ও বোনেরা আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ ঘটনাটা অতীব সত্য যে ঘটনাটি ঘটে একজন খোদা ভীরু মা ও সন্তানের ব্যাপারে।


মা রুটি বানাইতে ছিল। ছোট্ট শিশুটি তার পাশে বসাই ছিল। চুলার আগুন ধাধা করে জ্বলতেছিল। রুটি ঠিকমতোই বানাইতে ছিল, একটা করে রুটি বেলতে থাকে আরেকটি তাপাইতে থাকে। হঠাৎ করে মসজিদ থেকে মোয়াজ্জিন কতৃক আজানের সুর ভেসে আসলো মার কানে। মা ছিল অত্যন্ত খোদাভীরু। নামাজের পাবন্দি করত। যেই আজান কানে ভেসে আসলো, সাথে সাথে মা তৎক্ষণাৎ উঠে গিয়ে নামাজে দাঁড়িয়ে যায়। এ যেন পাগল হয়ে গেছে। যখনই আল্লাহ পাকের ডাক কানে দংকা বেজে উঠেছে ঠিক তখনই তার মনের ভিতর সমুদ্রের সেই ঢেউ খেলার মতো তার মন মাতাল হয়ে গেছে। তার যে সন্তান আছে। ছোট্ট শিশু আদরের কলিজার টুকরা, তার কথা এক মুহূর্তও মনে পরল না। সন্তানকে রেখেই সে দাঁড়িয়ে গেল মহান রবের ডাকে সাড়া দিতে। তার কদমে সেজদা করবে। মুহূর্তেই চলে এল শয়তান। তাকে বলতেছিল তুই কেমন মা, তোর সন্তানকে রেখে আসলি ,জ্বলন্ত চুলার পাশে। হতেও তো পারে, সে চুলার ভিতরে গিয়ে আগুনে পুড়ে মরবে। তোর কি একটু মনে পড়লো না ? যে, এই আদরের কলিজার টুকরা সন্তানকে কেমনে রেখে যাই? চুলার পাশে। ওরে বেকুব মহিলা! চাইলে তো নামাজ একটু পরেও পড়তে পারতি। এখনই যে তোকে নামাজ পড়তে হবে। তাতো না। এখনোও তো অনেক সময় বাকি আছে। একটু পরে পড়ে নিলেই পারতি। সন্তানকে আগে সেভ করতে। পরে নামার পড়তই। ওরে সবকিছুই করতে হয়। আল্লাহর গোলামী করতে হয়। নিজের সন্তানদেরকেও দেখাশোনা করতে হয়। সন্তানকে দেখাশোনা ,ওরে এটাও তো একটি ইবাদত। তোর তো এটাই সবচেয়ে বড় এবাদত সন্তানকে মানুষ করা। আর এটাও তো আছে। যে, প্রাণ বাঁচানোর চাইতে বড় পূর্ণ আর কিছু হতে পারে না। আর প্রাণনাশ করার চাইতে বড় কোন পাপ হতে আর হতে পারে না। তুই তো তোর নিজের সন্তানকে মারতে বসেছিস। যাই হোক। এইভাবে ধোঁকা দিতেই ছিল। মহিলাটি ছিল খুবই খোদাভীর, যার ফলে সে চিন্তা করতে লাগল আমার মনের ভিতর যে এই সমস্ত কথা উদয় হচ্ছে, এগুলো একান্তই শয়তানের ধোঁকা। তাই মা বললো ধুর শয়তান। আমি তো আল্লাহ তা'আলার সামনে দাঁড়িয়ে আছি। যার সামনে দণ্ডিত হয়েছি। সেই তো বাঁচানে ওয়ালা, সেই তো মারনেওয়ালা, তারই হাতে জীবন, তারি হাতে প্রাণ, তারই হাতে মৃত্যু, তারাই হাতে সব ক্ষমতা, তিনি চাইলে আমার সন্তানকে বাঁচাতে পারেন, আবার তিনি চাইলে আমার সন্তানকে মারতে পারেন। আর তিনি তো চাইলে আমাকে সন্তান নাও দিতে পারতেন। তিনি দয়া করে মেহেরবানী করে, অতি দয়া করে, আমাকে সন্তান দিয়েছেন।  ওরে! সন্তান তো তারই নিয়ামত। আর আমি তারই সামনে মাথানত করছি। শয়তান দূর হয়ে যা। আমি যার সামনে ডান্ডিত হয়েছি, সেই আমার সন্তানকে হেফাজত করবেন। এটা মনে মনে ভেবে মহিলাটি আবার নামাজে মনোনিবেশন করেন। ধ্যান, খেয়াল, খুশু-খুজু'র সহিত নামাজ আদায় করতে থাকেন। এরপরে, শয়তান আবার এসে বলতে থাকে ওরে তোর সন্তান তো চুলার মধ্যে যাইতেছে, এখন চুলার মধ্যে পড়ে পুড়ে ছারখার হয়ে যাবে। তোর সন্তানকে বাঁচাতে পারবে না । এখনো সময় আছে নামাজ ছেড়ে দিয়ে সন্তানকে বাঁচা। আরে পরে নামাজ পড়ে নিস। এবারও নামাজী মহিলাটি এভাবেই বলতেছে। মনে মনে ভাবতেছিল যে,  আমি যেই বাদশার সামনে দন্ডিত হয়েছি, তিনি আমার সন্তানকে হেফাজত করবেন।  দূর শয়তান! দূর হয়ে যা। আমি আল্লাহর সামনে দাঁড়িয়ে আছি। এইভাবে কিছুক্ষণ ধ্যান ও খেয়ালের সাথে নামাজ আদায় করতে ছিলেন। একটু পরে আবার শয়তান এসে ধোকা দিতে লাগলো। বলতে লাগলো মনে মনে। তার ভাবা শুরু হয়ে গেল। ওরে!  তুই কেমন মা হইলি? তোর সন্তানকে তুই নিজেই বলি দিলি । তোর সন্তান তো এখন চুলাডর ভিতর গিয়েছে। হয়তো এখন সে পুড়ে মারাই গিয়েছে। খা! থাক তোর নামাজ নিয়ে। তোর সন্তানকে হারিয়ে বসলি। এবারও শয়তানকে তাড়িয়ে দিয়ে মনে মনে ইস্তেগফার পড়ে খুশু-খুজুর সাথে নামাজ শেষ করে নিল। নামাজ শেষে কিছু দোয়া- দরুদ ও তাসবিহাত পাঠ করে, হাটি হাটি পা পা করে চুলার পাশে গিয়ে দেখতে পেল, সন্তান তো চুলার ভিতরে চলে গেছে ‌। কিন্তু মজার কান্ডটা কি? মা তো অবাক হয়ে গেল। যেই সন্তান চুলার মধ্যে গিয়ে জ্বলে পুড়ে ছারখার হওয়ার কথা, সেই সন্তান তো চুলার ভিতরে গিয়ে জ্বলন্ত আগুনের ভিতরে জ্বলন্ত কয়লা নিয়ে খেলা করছে। আল্লাহ;;; হাতে দেখি একটা জ্বলন্ত কয়লাও রয়েছে। মে কয়লাটা মুখে নিয়েছে সেটা সঙ্গে সঙ্গে স্বর্ণের রূপে রূপান্তরিত হয়ে গেছে।


ঘটনাটি মেরি নামাজ নামক একটি পুস্তকের মধ্যে পেয়েছিলাম। তো বাস্তবতা এটাই শুধু এটাই নয় নামাজের খুশখুজুর ফজিলত ও বরকত এর প্রমাণ হাজার হাজার অসংখ্য প্রমাণিত রয়েছে। তাই বলি কি,

ছোট্ট একটি শিশু জ্বলন্ত চুলার ভিতরে গিয়ে জ্বলন্ত কয়লা হাতে তুলে মুখে নেওয়ার সাথে সাথেই‌‌‍ স্বর্ণের টুকরায় পরিণত হলো।   সম্মানিত মুসলিম ভাই ও বোনেরা আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ ঘটনাটা অতীব সত্য যে ঘটনাটি ঘটে একজন খোদা ভীরু মা ও সন্তানের ব্যাপারে।  মা রুটি বানাইতে ছিল। ছোট্ট শিশুটি তার পাশে বসাই ছিল। চুলার আগুন ধাধা করে জ্বলতেছিল। রুটি ঠিকমতোই বানাইতে ছিল, একটা করে রুটি বেলতে থাকে আরেকটি তাপাইতে থাকে। হঠাৎ করে মসজিদ থেকে মোয়াজ্জিন কতৃক আজানের সুর ভেসে আসলো মার কানে। মা ছিল অত্যন্ত খোদাভীরু। নামাজের পাবন্দি করত। যেই আজান কানে ভেসে আসলো, সাথে সাথে মা তৎক্ষণাৎ উঠে গিয়ে নামাজে দাঁড়িয়ে যায়। এ যেন পাগল হয়ে গেছে। যখনই আল্লাহ পাকের ডাক কানে দংকা বেজে উঠেছে ঠিক তখনই তার মনের ভিতর সমুদ্রের সেই ঢেউ খেলার মতো তার মন মাতাল হয়ে গেছে। তার যে সন্তান আছে। ছোট্ট শিশু আদরের কলিজার টুকরা, তার কথা এক মুহূর্তও মনে পরল না। সন্তানকে রেখেই সে দাঁড়িয়ে গেল মহান রবের ডাকে সাড়া দিতে। তার কদমে সেজদা করবে। মুহূর্তেই চলে এল শয়তান। তাকে বলতেছিল তুই কেমন মা, তোর সন্তানকে রেখে আসলি ,জ্বলন্ত চুলার পাশে। হতেও তো পারে, সে চুলার ভিতরে গিয়ে আগুনে পুড়ে মরবে। তোর কি একটু মনে পড়লো না ? যে, এই আদরের কলিজার টুকরা সন্তানকে কেমনে রেখে যাই? চুলার পাশে। ওরে বেকুব মহিলা! চাইলে তো নামাজ একটু পরেও পড়তে পারতি। এখনই যে তোকে নামাজ পড়তে হবে। তাতো না। এখনোও তো অনেক সময় বাকি আছে। একটু পরে পড়ে নিলেই পারতি। সন্তানকে আগে সেভ করতে। পরে নামার পড়তই। ওরে সবকিছুই করতে হয়। আল্লাহর গোলামী করতে হয়। নিজের সন্তানদেরকেও দেখাশোনা করতে হয়। সন্তানকে দেখাশোনা ,ওরে এটাও তো একটি ইবাদত। তোর তো এটাই সবচেয়ে বড় এবাদত সন্তানকে মানুষ করা। আর এটাও তো আছে। যে, প্রাণ বাঁচানোর চাইতে বড় পূর্ণ আর কিছু হতে পারে না। আর প্রাণনাশ করার চাইতে বড় কোন পাপ হতে আর হতে পারে না। তুই তো তোর নিজের সন্তানকে মারতে বসেছিস। যাই হোক। এইভাবে ধোঁকা দিতেই ছিল। মহিলাটি ছিল খুবই খোদাভীর, যার ফলে সে চিন্তা করতে লাগল আমার মনের ভিতর যে এই সমস্ত কথা উদয় হচ্ছে, এগুলো একান্তই শয়তানের ধোঁকা। তাই মা বললো ধুর শয়তান। আমি তো আল্লাহ তা'আলার সামনে দাঁড়িয়ে আছি। যার সামনে দণ্ডিত হয়েছি। সেই তো বাঁচানে ওয়ালা, সেই তো মারনেওয়ালা, তারই হাতে জীবন, তারি হাতে প্রাণ, তারই হাতে মৃত্যু, তারাই হাতে সব ক্ষমতা, তিনি চাইলে আমার সন্তানকে বাঁচাতে পারেন, আবার তিনি চাইলে আমার সন্তানকে মারতে পারেন। আর তিনি তো চাইলে আমাকে সন্তান নাও দিতে পারতেন। তিনি দয়া করে মেহেরবানী করে, অতি দয়া করে, আমাকে সন্তান দিয়েছেন।  ওরে! সন্তান তো তারই নিয়ামত। আর আমি তারই সামনে মাথানত করছি। শয়তান দূর হয়ে যা। আমি যার সামনে ডান্ডিত হয়েছি, সেই আমার সন্তানকে হেফাজত করবেন। এটা মনে মনে ভেবে মহিলাটি আবার নামাজে মনোনিবেশন করেন। ধ্যান, খেয়াল, খুশু-খুজু'র সহিত নামাজ আদায় করতে থাকেন। এরপরে, শয়তান আবার এসে বলতে থাকে ওরে তোর সন্তান তো চুলার মধ্যে যাইতেছে, এখন চুলার মধ্যে পড়ে পুড়ে ছারখার হয়ে যাবে। তোর সন্তানকে বাঁচাতে পারবে না । এখনো সময় আছে নামাজ ছেড়ে দিয়ে সন্তানকে বাঁচা। আরে পরে নামাজ পড়ে নিস। এবারও নামাজী মহিলাটি এভাবেই বলতেছে। মনে মনে ভাবতেছিল যে,  আমি যেই বাদশার সামনে দন্ডিত হয়েছি, তিনি আমার সন্তানকে হেফাজত করবেন।  দূর শয়তান! দূর হয়ে যা। আমি আল্লাহর সামনে দাঁড়িয়ে আছি। এইভাবে কিছুক্ষণ ধ্যান ও খেয়ালের সাথে নামাজ আদায় করতে ছিলেন। একটু পরে আবার শয়তান এসে ধোকা দিতে লাগলো। বলতে লাগলো মনে মনে। তার ভাবা শুরু হয়ে গেল। ওরে!  তুই কেমন মা হইলি? তোর সন্তানকে তুই নিজেই বলি দিলি । তোর সন্তান তো এখন চুলাডর ভিতর গিয়েছে। হয়তো এখন সে পুড়ে মারাই গিয়েছে। খা! থাক তোর নামাজ নিয়ে। তোর সন্তানকে হারিয়ে বসলি। এবারও শয়তানকে তাড়িয়ে দিয়ে মনে মনে ইস্তেগফার পড়ে খুশু-খুজুর সাথে নামাজ শেষ করে নিল। নামাজ শেষে কিছু দোয়া- দরুদ ও তাসবিহাত পাঠ করে, হাটি হাটি পা পা করে চুলার পাশে গিয়ে দেখতে পেল, সন্তান তো চুলার ভিতরে চলে গেছে ‌। কিন্তু মজার কান্ডটা কি? মা তো অবাক হয়ে গেল। যেই সন্তান চুলার মধ্যে গিয়ে জ্বলে পুড়ে ছারখার হওয়ার কথা, সেই সন্তান তো চুলার ভিতরে গিয়ে জ্বলন্ত আগুনের ভিতরে জ্বলন্ত কয়লা নিয়ে খেলা করছে। আল্লাহ;;; হাতে দেখি একটা জ্বলন্ত কয়লাও রয়েছে। মে কয়লাটা মুখে নিয়েছে সেটা সঙ্গে সঙ্গে স্বর্ণের রূপে রূপান্তরিত হয়ে গেছে।  ঘটনাটি মেরি নামাজ নামক একটি পুস্তকের মধ্যে পেয়েছিলাম। তো বাস্তবতা এটাই শুধু এটাই নয় নামাজের খুশখুজুর ফজিলত ও বরকত এর প্রমাণ হাজার হাজার অসংখ্য প্রমাণিত রয়েছে। তাই বলি কি, নামাজ তো আমরা পড়ি, একটু মনোযোগ দিয়ে পড়লেই তো হয়। একটু খুশু খুজুর  সহিত পরলেই পাওয়া যাবে, নামাজের কি স্বাদ আর কি মজা।   আল্লাহ পাক আমাদের সকলকে খুশি-খুজুর সাথে নামাজ আদায় করার তৌফিক দান করুন।

নামাজ তো আমরা পড়ি, একটু মনোযোগ দিয়ে পড়লেই তো হয়। একটু খুশু খুজুর  সহিত পরলেই পাওয়া যাবে, নামাজের কি স্বাদ আর কি মজা। 


আল্লাহ পাক আমাদের সকলকে খুশি-খুজুর সাথে নামাজ আদায় করার তৌফিক দান করুন।

মন্তব্যসমূহ